নিচে দেয়া হলঃএম এ ( শেষ পর্ব) – এর ১০৫৩ বিষয় কোড পরীক্ষায় যেসব সংজ্ঞা লিখতে হয় , তা
সংজ্ঞাসমূহঃ
১.
প্রক্ষিপ্ত পাঠ – পাণ্ডুলিপিতে মূল লেখক ব্যতীত অন্য কারো দ্বারা অতিরিক্ত অংশ
সংযোজনকে প্রক্ষিপ্ত বলে। আর এ রকম সংযোজিত পাঠকে
প্রক্ষিপ্ত পাঠ বলে।
২.
পুষ্পিকা –
সম্পূর্ণ পুঁথি বা খণ্ডবিশেষের শেষে সমাপ্তিসূচক অতিরিক্ত অংশকে
পুষ্পিকা
বলে। এ অংশ লিপিকরের নিজস্ব পরিযোজনা । পুষ্পিকায়
থাকে – ক) লিপিকরের নাম , ঠিকানা ।
খ) লিপিকাল ।
গ) পুঁথি রচয়িতার
পরিচিতি।
ঘ) সামাজিক ,
ঐতিহাসিক কোনো বিষয় বা তত্ত্বকথা । ইত্যাদি।
৩. পাঠানুমিতি – প্রাপ্ত সকল
পাঠ যখন লেখকের কাঙ্ক্ষিত পাঠ উদ্ধারে বিশেষ সাহায্য
করে না , তখন সম্পাদক বাধ্য
হয়ে একটি অনুমানভিত্তিক পাঠ
নির্ণয় করেন। এ রকম পাঠকে
পাঠানুমিতি বলে।
৪. পাঠ বিকৃতি – লিপি
পরম্পরায় রচয়িতার মূল পাঠের যে পরিবর্তন ঘটে, তাকে পাঠ
বিকৃতি বলে। পাঠ বিকৃতি ৩
প্রকার-
ক) পাঠ
পরিবর্তন
খ) পাঠ
পরিবর্জন ও
গ) পাঠ
সংযোজন ।
৫. সমন্বিত পাঠ – একে যৌগিক
পাঠও বলা হয়। একটি পাণ্ডুলিপিকে আদর্শ ধরে অন্যান্য
পাণ্ডুলিপির সাহায্যে
সম্পাদক যে পাঠ নির্ণয় করেন, তাকে সমন্বিত
পাঠ বলে।
৬. মিশ্র পাঠ – বিভিন্ন
লিপিকরের প্রস্তুতকৃত অনুলিপিতে পাঠের গ্রহণ, বর্জন ও
পরিবর্তনের কারণে যে পাঠের
সৃষ্টি হয় , তাকে মিশ্র পাঠ বলে।
৭. দ্বি-লিখন - পাণ্ডুলিপি অনুলিখনের সময় লিপিকর যখন একই
শব্দ,বাক্য বা
বাক্যাংশ ভুলক্রমে দুবার লিখে
ফেলেন , তখন তাকে দ্বি-লিখন বা
দ্বিলিপি বলে ।
৮.
দিব্য পাঠ –
কখনো কখনো সম্পাদক অভ্যন্তরীণ কিংবা বাহ্যিক কোনো প্রমাণের
সাহায্য
না পেয়ে নিজের বিবেকবুদ্ধির দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে পাঠ নির্ণয়
করেন,
তখন এ ধরনের পাঠকে দিব্য পাঠ বলে।
৯.
সমচ্যুতি –
সাদৃশ্যবশত বর্ণ, শব্দ বা চরণের বিচ্যুতিকে সমচ্যুতি বলে।
১০.
পাঠ সম্প্রসারণ – আদর্শ পুঁথির প্রতিলিপি তৈরি বা অনুবাদ করার সময় লিপিকর যদি
অতিরিক্ত কোন চরণ , অনুচ্ছেদ
বা বর্ণনা সংযোজন করেন , তবে তাকে
পাঠ সম্প্রসারণ বলে। ’পদ্মাবতী’ অনুবাদে কবি আলাওল `ষট ঋতু’
খণ্ডে
এ রকম পাঠ সম্প্রসারণ করেছেন।
১১.
তোলা পাঠ –
দুই চরণের মাঝখানে বা উপরে-নিচে বা পাশে লিপিকর কর্তৃক
সংযোজিত পাঠকে তোলা পাঠ বলে।
একে অতিযোজনাও বলা হয়।
১২.
শ্রুতিলেখক –
যে লিপিকর অন্যের পাঠ বা আবৃত্তি শুনে পাণ্ডুলিপি লেখে, তাকে
শ্রুতিলেখক বলে।
১৩.
লৌকিক পাঠ –
যখন যথোপযুক্ত তথ্য-উপাত্ত পাওয়া যায় না , তখন লিপিকর বা
সম্পাদক সাধারণ অর্থগ্রাহ্য
যে পাঠ গ্রহণ করে, সে পাঠকে লৌকিক
পাঠ বলে।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন