য ফলা
শব্দের প্রথম ব্যঞ্জনের সাথে ‘¨’ এবং পরে অ বা আ থাকলে , সেই ব্যঞ্জনের বিবৃত অ অর্থাৎ ‘অ্যা’
উচ্চারণ হবে। যেমন- ব্যর্থ, ব্যাথা। কিন্তু শব্দের মাঝে বা শেষে যে ব্যঞ্জনের সাথে ‘য ফলা’ থাকবে , সেই
ব্যঞ্জনের দ্বিত্ব ( দুবার ) উচ্চারণ হবে।
যেমন- কন্যা ( কোন্ না) ।
আবার শব্দের প্রথম ব্যঞ্জনের সাথে ‘য ফলা’ এবং পরে ই বা ঈ থাকলে , সেই ব্যঞ্জনের সংবৃত ‘এ’ উচ্চারণ হবে। যেমন- ব্যথিত ( বেথিতো) , ব্যতিত ( বেতিতো)।
কোনো যুক্তবর্ণের পরে ‘য ফলা’ থাকলে , সেই ‘য ফলা’ এর কোনো উচ্চারণ হবে না । যেমন - সন্ধ্যা ( সন্ ধা) – মনে হয় এখানে ‘য ফলা’ ছিলই না ।
বানান
|
উচ্চারণ
|
উদাহরণ
|
্য+ অ/আ
|
শব্দের প্রথমে অ্যা হয়
|
ব্যর্থ, ব্যাথা,ন্যায়,শ্যামল
|
মাঝে/শেষে থাকলে দ্বিত্ব হয়
|
কন্যা,পণ্য,কল্যাণ,শূন্যতা
|
|
্য+ই/ঈ
|
উচ্চারণ এ হয়
|
ব্যথিত,ব্যতীত,ব্যক্তি
|
যুক্তবর্ণ+ য ফলা
|
উচ্চারণ হবে না
|
স্বাস্থ্য,সন্ন্যাসী,মর্ত্য
|
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন